এক শাড়িতেই জেলার ৬ ঐতিহ‍্য : তাক লাগিয়েছেন তাঁতশিল্পী

8th September 2021 2:02 pm বাঁকুড়া
এক শাড়িতেই জেলার ৬ ঐতিহ‍্য : তাক লাগিয়েছেন তাঁতশিল্পী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  এক শাড়িতে বাঁকুড়া জেলার ৬ ঐতিহ্য! 'কারুকলা' বানিয়ে সাড়া ফেলেছেন বিষ্ণুপুরের তাঁতশিল্পী!

বাঁকুড়ার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর মানেই ইতিহাস আর শিল্পের এক মেলবন্ধন। আর ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এখানে রকমারি বালুচরি শাড়ি। আর এক শাড়িতে লণ্ঠন, দশাবতার তাস সহ জেলার সব শিল্পকে তুলে ধরে আরো একবার ইতিহাস ও শিল্পকে এক মঞ্চে এনেছেন বিষ্ণুপুরের তাঁত শিল্পী অমিতাভ পাল। তার একটি বালুচরি শাড়িতে তিনি তার নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন বিষ্ণুপুরের লণ্ঠন শিল্পের চিত্র, ঐতিহাসিক মল্ল রাজাদের দশাবতার তাসের চিত্র, বিকনার ডোকরা শিল্পের ময়ূর, পাঁচমুড়ার ঘোড়া এবং  রাজগ্রাম ও গোপীনাথপুরের তাঁতের গামছার চিত্র। এছাড়াও এই শাড়িতে উল্লেখযোগ্যভাবে কোরোনা যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে শিল্পী তুলে ধরেছেন লাল ও কালো রঙের প্লাস চিহ্ন। এর পাশাপাশি শাড়ির আঁচলে রয়েছে বিষ্ণুপুরের একটি সুপ্রাচীন শঙ্খ শিল্প এবং রয়েছে মল্ল রাজাদের রাজ বেশে একটি পটো চিত্র । আর এই শাড়ির নামটিও তিনি রেখেছেন অনন্য উপায়ে। শাড়িটির নাম রেখেছেন 'কারুকলা'। উল্লেখ্য, এর আগেও অমিতাভ পালের হাতে তৈরি হয়েছে এরি, রেশমী, মুগা, তিন কন্যা,পঞ্চাশ হাজারী, এক লাখ ও দেড় লাখির অনন্য সব মেঘলা বালুচরী শাড়ি। কিন্তু এবার করোনা অতিমারীর কারণে তিনি এই অভিনব শাড়ির দাম রেখেছেন মাত্র ১৮ হাজার টাকা। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।